1. live@www.dainikalorsomoypratidin.com : দৈনিক আলোর সময় প্রতিদিন : দৈনিক আলোর সময় প্রতিদিন
  2. info@www.dainikalorsomoypratidin.com : দৈনিক আলোর সময় প্রতিদিন :
মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
এনায়েতপুরে মেধাবী শিক্ষার্থীরদের মাঝে ক্রেস্ট বিতরন সুস্থ থাকতে হলে খেলার বিকল্প নাই কোটচাঁদপুরে, শিমল  মুন্সীগঞ্জে ড্রেজারের পানিতে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ এখোন জলাশয় কে নির্বাচনে আসলো কিংবা না আসলো তাতে কিছু আসে যায় না, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে-খোকন তালুকদার নাটোরের বড়াইগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সম্মেলন এনায়েতপুরে পূজা মন্ডব পরিদর্শন ও আর্থিক অনুদান দিলেন আমিরুল ইসলাম খান (আলিম) নাটোরের ভূষনগাছা শ্রী শ্রী কালী পুজামন্ডব পরিদর্শন করলেন নলডাঙ্গা থানা প্রেসক্লাব ও নলডাঙ্গা রিপোর্টাস্ ইউনিটি গজারিয়া বিষ দিয়ে নারীর ৫২ হাঁস মেরে ফেললো দূর্বত্তরা থানায় অভিযোগ শৈলকুপায় ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক দোয়ারাবাজারে প্রবাসীর স্ত্রীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা, গুরুতর আহত

সাগরপথকে প্রধান রুট হিসেবে ব্যবহার করছে চোরা কারবারিরা: রামু সেক্টর কমান্ডার

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

 

মোহাম্মদ নাছিম কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত হয়ে দেশে মাদক প্রবেশের জন্য কক্সবাজার সীমান্তের সাগরপথকে এখন প্রধান রুট হিসেবে ব্যবহার করছে চোরাকারবারিরা। এর মধ্যে উখিয়া-টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দীন আহমেদ।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার শহরের লাবণী পয়েন্টে বিজিবি সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য তুলে ধরেন।

কর্নেল মহিউদ্দীন জানান, আগে অনুমান করা হলেও এখন ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট বিশ্লেষণে প্রমাণ মিলেছে যে ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথসহ বিভিন্ন মাদক সাগরপথ দিয়েই দেশে প্রবেশ করছে। দেশে প্রবেশ করা মোট মাদকের প্রায় ৮০ শতাংশই আসছে এই রুটে।

বিকল্প রুটে পাচারকারীদের সক্রিয়তা

উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তে নজরদারি কঠোর হওয়ায় পাচারকারীরা বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করছে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত। তবে দুর্গম ভূখণ্ড ও দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা এ অঞ্চলে কার্যকর নজরদারি জটিল করে তুলেছে বলে জানান তিনি।

দুই মাসে বিপুল সাফল্য

গত ১৫ জুলাই থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিযানে বিজিবি ইয়াবা ২৮ লাখেরও বেশি পিস, ক্রিস্টাল মেথ ৮১৬ গ্রাম, বিয়ার ১৬৮ ক্যান, বাংলা মদ ৩৬৬ লিটার ও গাঁজা ২ কেজি ৪২৫ গ্রাম উদ্ধার করেছে। এ সময় গ্রেফতার করা হয়েছে ১৮৮ জন আসামিকে। এসবের আনুমানিক সিজার মূল্য প্রায় ৮৯ কোটি টাকা।

একই সময়ে উদ্ধার হয়েছে দেশীয় একনলা বন্দুক ৬টি, একে-৪৭ রাইফেল, এসএলআর, জি-৩ রাইফেল, বিদেশি রিভলবার ও গ্রেনেডসহ অস্ত্র-গোলাবারুদ। আটক করা হয়েছে ৫ জন অস্ত্রধারী আসামিকে। উদ্ধারকৃত গবাদি পশু ২২৬টি এবং অন্যান্য চোরাচালানি মালামালের বাজারমূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা।

বিশেষ অভিযান

গত ১৪ আগস্ট কক্সবাজার রিজিয়নের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় মালিকবিহীন ১ হাজার ৩২২ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করাকে সাম্প্রতিক সময়ের উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেন কর্নেল মহিউদ্দীন।

বহুমাত্রিক পদক্ষেপ

বিজিবি রামু সেক্টর কমান্ডার বলেন, সীমান্ত এলাকায় নিয়মিত টহল, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা ও জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে মাদক ও চোরাচালান দমনে বহুমাত্রিক পদক্ষেপ নিচ্ছে বিজিবি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ, রামু, কক্সবাজার, উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের অধিনায়কগণসহ বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট