সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের মাঠগাঁও গ্রামের আবদুর রহমানের পুত্র মো. সুমন মিয়ার বসতবাড়ীতে এ ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগ সূত্রে ও সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে, দীর্ঘ ৭০ বছর যাবত সুমনের শশুর এই বাড়ীটিতে ভোগদখল করে আসিতেছে। অসহায় সুমনের নিকট মেয়ে বিবাহের পর এখানে ১৫ শতাংশ “দখলীও” নির্মাণাধীন বসতবাড়ীটি দান করেছেন শশুর।
অসহায় সুমন পরিবার চালাতে জীবিকার তাগিদে ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে কোনমতেই পরিবার নিয়ে বেঁচে আছেন। এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিবাদী মো. কালামিয়া গংরা অন্যায় ভাবে লোভ লালসা করে এই বসতবাড়ীতে নতুন একটি দলিলাদি সৃজন করে ঝামেলা সৃষ্টি করে বাড়ী থেকে উটিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করেন তারা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুমন মিয়া বাদী হয়ে ৯ জনকে বিবাদী করেন।বিবাদীরা হলেন ১/ কালা মিয়া (৭০) ২/সোনা মিয়া (৬০) পিং মেখন খাঁ ৩/কালা মিয়ার পুত্র মো. এমদাদুল (৪০) ৪/এমদাদুলের স্ত্রী মোছা.ফাতেমা বেগম(৩৫) ৫/ইউছুফ মিয়া (২৫) ৬/মো.নয়ন মিয়া (৩২)উভয় পিতা মো.সোনা মিয়া ৭/ মো.রবি মিয়া (৪০) পিং মৃত্যুঃ লুকমান মিয়া ৮/ মোছা.নাছি বেগম (৩৫)স্বামী আব্দুর রশিদ ৯/ মোছা. মুসলিমা বেগম (২৫) পিং কালা মিয়া এদের বিরুদ্ধে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করেন দীর্ঘ দিনের বসতবাড়ীর বিভিন্ন গাছ গাছালী কাঁঠা নিয়ে ঝগড়া সৃষ্টি করে বাড়ী ঘর ভেঙ্গে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি, না হয়
এই বাড়ীর অর্ধেক টাকা দেওয়ার কথা বলেন বিবাদী কালা মিয়া গং। এই বাড়ীর সুমন মিয়া অত্যান্ত দিন মজুর হওয়ায় এত টাকা পরিশোধ করা মুশকিল। জানতে চাইলে এলাকার অনেকেই বলেন,সুমন মিয়া দীর্ঘ দিন যাবত এই বসতবাড়ীতে ভোগদখল করে বসবাস করে আসছেন।বিবাদী কালা মিয়া অন্যের দখলকৃত বসতবাড়ী ক্রয় করা নিঃসন্দেহ অন্যায় ও জুলুম করেছে এবং এই কাজ টি করা টিক হয়নি,বলে মন্তব্য করেন এলাকার অনেকেই।
জানতে চাইলে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাহিদুল হক বলেন, এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।