সোহেল রানা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত এনায়েতপুর বেরিবাঁধ। এটি এখন যেন অসহায় মানুষের জীবন চলার কর্মসংস্থানের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বাঁধটির পাশেই রয়েছে খাজা ইউনস আলী (রহঃ) এর দরবার শরীফ ও খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। দূর দূরান্ত থেকে দরবার শরীফ পরিদর্শন ও হাসপাতালে সেবা নিতে আসা হাজারও মানুষ বেড়িবাঁধটি ঘুরে দেখেন। প্রতিদিন লোকের সমাগম হয়। যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত এনায়েতপুর বেরিবাঁধ। এটি এখন যেন অসহায় মানুষের জীবন চলার কর্মসংস্থানের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
কেউ ঝালমুড়ি, কেউ চানাচুর ও ফুসকা বিক্রি করছেন। আবার কেউ ঠান্ডা লেবুর শরবত ও বসিয়েছেন খাবার হোটেল। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বেড়িবাঁধটি যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত। বাঁধটির উপর দাঁড়িয়ে যমুনা নদী ও প্রকৃতির উপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করে ভ্রমণ পিপাসুরা। আবার কেউ বেড়িবাঁধে এসে ঘন্টা চুক্তি হিসেবে নৌকা নিয়ে নদীতে ঘুড়ে বেড়ায়। এতে অর্ধশত অসহায় পরিবারের কর্মস্থল হয়ে উঠেছে। বেড়িবাঁধের ক্ষুদ্র হোটেল ব্যবসায়ী গোলাম হোসেন বলেন, বেড়িবাঁধ হওয়ার আগে আমি অন্যের হোটেলে কাজ করতাম। এখন আমার হোটেল শুধু সিরাজগঞ্জ না, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যমুনার মাছ ও দেশি গরুর মাংসের ভাত খেতে আসে। প্রতিদিন দেড় থেকে দুই মন চালের ভাত রান্না করি। হোটেলে ১২ জন কর্মচারি কাজ করে। বাদাম বিক্রিতা নাজমুল বলেন, আমার কোন কর্ম ছিলনা। অনেক কষ্টে দিন পার করেছি। এখন বেড়িবাঁধে প্রতিদিন ৫-৬ হাজার টাকার বাদাম বিক্রি করি। এতে যে টাকা লাভ হয়, তা দিলেই সংসার ও ছেলে-মেয়েদের খরচ চালাই। নৌকার মাঝি আব্দুস সালাম বলেন, আগে আমি এনায়েতপুর খেয়াঘাটে নৌকা বাইতাম। একটা সময় খেয়া পাড়াপাড় বন্ধ হয়ে যায়। তখন কি করবো ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। পরে বেড়িবাঁধে নৌকা চালিয়েই বেঁচে আছি। বেড়িবাঁধে বেড়াতে আসা হাজী মানিক হোসেন বলেন, নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে খুব ভালো লাগে। এজন্য মাঝেমধ্যেই পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসি। এটা সেটা কিনে খাই। বেশ ভালো লাগে।