মো: ইসরাফিল হোসেন, রাজশাহী:

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ৫নং শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের পচামাড়িয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে (২০ আগষ্ট) বুধবার বিকাল ৫.০০ ঘটিকায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মোঃ তাহের হুদা রঞ্জু (সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন।)-এর সভাপতিত্বে ও বাবলু রহমান (সেক্রেটারী (ভারপ্রাপ্ত), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন। )-এর সঞ্চালনায় উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ নুরুজ্জামান লিটন,এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, রাজশাহী জেলা ও রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে জামায়াত মনোনিত এমপি পণ্যার্থী।

বিশেষ অতিথি বৃন্দ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,মাওঃ মোঃ আহমদ উল্লাহ, শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, রাজশাহী জেলা। মাওঃ মোঃ মনজুর রহমান, আমীর, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পুঠিয়া উপজেলা। এ এইচ এম মনসুরুল হক, সেক্রেটারি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পুঠিয়া উপজেলা। মোঃ আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী।

উক্ত নির্বাচনী সমাবেশে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন,আমরা আল্লাহর আইন আর কুরআন এর আইন প্রতিষ্ঠা করতে চাই আমরা তাদের সাথে থাকব। ঐ সমস্ত দলকে আমরা প্রত্যাখ্যান করব যারা মানব রচিত বিধানকে প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

গত ০৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদেরকে বিভিন্নভাবে রাজাকারের ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে,বলা হচ্ছে আমরা রাজাকার , কিন্তু রাজাকার ট্যাগ দিয়ে এদেশের অগ্রযাত্রা কে মুছে দেওয়া যাবে না, গত ষোলো বছর এদেশের নির্বাচনে যারা ভোট দিতে পারেনি তারা স্বৈরাচার পতনের সময় নিজেরাই রাজাকার উপাধি গ্রহণ করেছে, তারা বলেছে ,তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার কে বলেছে কে বলেছে স্বৈরাচার স্বৈরাচার।

আমি আরো বলতে চাই যেদলের নেতা কর্মীদের উপরে সেই দলের নিয়ন্ত্রণ নাই সেই দলটি রাষ্ট্র পরিচালনায় আসলে বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। যে দলের নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজির জন্য তিন হাজার নেতা কর্মীকে বহিষ্কার করতে হয়েছে ,যে দলের নেতা কর্মীরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে মৃত্যুবরণ করেছে সে দলের হাতে দেশ নিরাপদ নয়।

আমাদেরকে বলা হচ্ছে আমরা নাকি নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছি! বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একমাত্র দল বাংলাদেশে যারা একযোগে পুরো দেশে ৩০০ আসনে মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছে ।

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী কখনও নির্বাচনে ষড়যন্ত্র করছে না, আপনারা তো বড় দল বারবার ক্ষমতায় এসেছেন সাহস থাকলে তফসিলের আগে আপনারাও ৩০০ আসনে আপনাদের প্রার্থী ঘোষণা করুন।

দেখবেন আপনাদের নিজেদের দলের কর্মীদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে, আপনারা আমাদেরকে সবক দিতে আসবেন না সারা দেশের মানুষ জেনে গেছে বেশি-বিদেশি প্রত্যেকটি জরিপে ৬৭% মানুষ তার মতামত দিয়েছে জামাতে ইসলামের পক্ষে থাকতে চায তারা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দিতে চায়।

ভিন্ন ধর্মালম্বী ভাইদের কে ভয় দেখানো হতো জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে তোমাদের ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করে দেয়া হবে তোমাদের জমির দখল করা হবে। বাংলাদেশের একটি ইতিহাসে কেউ দেখাতে পারবে না যে সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইদের সাথে বাংলাদেশ জামাত ইসলামী কোন খারাপ ব্যবহার করেছে বিভিন্নভাবে হয়রানি স্বীকার করেছে জমি দখল করেছে লুট তালাশ করেছে।

সুতরাং সনাতন ধর্মালম্বী ভাইসহ এদেশের মানুষকে বলব আপনারা বিভিন্ন দলকে এদেশের ক্ষমতায় আসতে দেখেছেন এবার জামায়াতে ইসলামের কে ভোট দিয়ে দেখুন ।

আপনারা টাকার কাছে আপনাদের ঈমান, ভোট বিক্রি করবেন না, যেমন রমজান মাসে আমরা রোজা থেকে আমাদের সামনে খাবার থাকার পরেও আপনারা খান না কেন খান্না আপনারা আল্লাহকে ভয় করে খান্না ঠিক তেমনি ভোট কেন্দ্রের মধ্যেও আপনি ছাড়া সেখানে কেউ থাকবে না সেখানে থাকবে শুধু মহান আল্লাহ , আপনার সেখানে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন সেই দলের যে দলের ইশতেহারে থাকবে বিজয়ী হলে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে কোরআন সুন্নাহর আইনে দেশকে পরিচালিত হবে ।

আপনারা সেই দলকে ভোট দেবেন ইনশাল্লাহ আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন করবো না ইনশাল্লাহ।

এ ছাড়াও সমাবেশে অন্যন্যদের মধ্যে উপস্তিত ছিলেন, ইউসুফ আলী মির্জা ,নায়েবে আমির বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উঠিয়া উপজেলা। শহিদুজ্জামান মীর আমির বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাহেরপুর পৌরসভা। রুহুল আমিন সরকার সভাপতি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জিওপাড়া ইউনিয়ন। মারুফ আহমেদ সভাপতি বাংলাদেশ ইসলামী বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির তাহেরপুর আদর্শ শাখা সহ প্রমুখ।