সোহেল রানা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বেতিল ও খামার গ্রাম কবরস্থান সহ রাস্তার জন্য পুরো খাল মাটি ভরাট করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সদিয়া ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ।
বেতিল ও খামার গ্রামের ঐতিহ্যবাহী কবরস্থান ও বেতিল আঞ্চলিক সড়কটি পূর্বে অর্ধেক যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
যমুনা নদীতে বিলীন হওয়া বেতিল ও খামার গ্রামটি কালের বিবর্তনে চরে পরিনত হয়।
ধীরে ধীরে উক্ত চরে প্রায় ১৫ টি গ্রামের মানুষ বসত বাড়ি গড়ে তোলে।
এসব চর অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের জন্য একমাত্র বাহন ছিল নৌকা। এতে করে চর অঞ্চলের মানুষের বর্ষা মৌসুমে নৌকা পাড়া পাড়ের ভোগান্তি ছিল।
খালের ওপাড়ে রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়,স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসা, হাটবাজার, হাসপাতাল, ইউনিয়ন পরিষদ, ও ভুমি অফিস যার কারণে জরুরি প্রয়োজনে ভোগান্তির শিকার হতো এলাকাবাসী।
দুই যুগেও একটি সেতু নির্মাণ না হওয়ায় হতাশ গ্রামবাসী। নদীতে সেতু না থাকায় সদিয়া ইউনিয়নের ১৫ টি গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার।
সরকারি বরাদ্দ না পাওয়ায় বেতিল ও খামার গ্রাম কবরস্থানের পরিধি বৃদ্ধি ও চর অঞ্চল মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য কবরস্থান ও রাস্তা সহ ২০০ শতাংশ জমিতে ২৫ ফুট গভীর খাল ও মাটি ভরাট করা হয়।
এ বিষয়ে বেতিল চরের শহিদুল ইসলাম বলেন আমরা বহুবার এই রাস্তার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একটি ব্রীজের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
বেতিল ও খামার গ্রাম কবরস্থানটি যখন মাটি ভরাটের উদ্যোগ গ্রহণ করে তখন আমরা গ্রামবাসীরা সবাই কবরস্থানের সাথে রাস্তাটির মাটি ভরাটের দাবি জানাই।কবরস্থানের সাথে আমাদের বেতিল আঞ্চলিক সড়কটি রাস্তা মাটি ভরাট করে বেতিল মহা শতকোটির সাথে সংযুক্ত করা হয়।
এতে চর এলাকাবাসী সবাই মাটি ভরাটের কাজের জন্য সহায়তা করেছেন। ড্রেজার দিয়ে যমুনা নদী থেকে বালু এনে কবরস্থান ও রাস্তার মাটি ভরাট করা হয়েছে।
মাটি ভরাটের কাজ করতে প্রায় এক মাষ সময় লেগেছে। কবরস্থান ও রাস্তার মাটি ভরাট কাজে জনগন প্রায় ব্যয় করেছে ১ কোটি টাকা ।