কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
র্যাব পরিচয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অপহরণের ঘটনায় মূল হোতা এবং সরাসরি জড়িত একাধিক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। উদ্ধার করা হয়েছে বিদেশি ও দেশি অস্ত্র, র্যাবের পোশাক, ফেইক আইডি কার্ড, হ্যান্ডকাপ ও গোলাবারুদ।
গত ১১ জুন রাত আনুমানিক সময়ে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ থেকে মোঃ হাফিজ উল্লাহ নামে এক যুবককে অপহরণ করা হয়। বরখাস্তকৃত সৈনিক সুমন, সন্ত্রাসী ফারুক ও শিকদার র্যাব পরিচয়ে ভিকটিমকে ডেকে নিয়ে যায় রঙ্গিখালী এলাকার গহীন পাহাড়ে। এরপর অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে পরিবার থেকে চাওয়া হয় ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
র্যাবের একাধিক অভিযানে ১৩ জুন রঙ্গিখালী থেকে দুই সন্দেহভাজন, ১৪ জুন মরিচ্যা বাজার থেকে মূল অভিযুক্ত বরখাস্ত সৈনিক সুমন এবং ১৫ জুন গহীন অরণ্যে অভিযান চালিয়ে ভিকটিম হাফিজ উল্লাহকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে র্যাবের পোশাক, ওয়াকিটকি, দেশি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
সম্প্রতি ২৭ জুন কুখ্যাত অপহরণকারী শিকদার এবং গতকাল মরিচ্যা থেকে ফারুক নামে আরেক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় র্যাবের ৪টি পোশাক, একটি ফেইক আইডি কার্ড, হ্যান্ডকাপ, একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ১০ রাউন্ড তাজা গুলি, ১১ রাউন্ড খালি কার্টিজ এবং একটি ছুরি।
র্যাব জানায়, বরখাস্ত সৈনিক সুমন তার আগের চাকুরির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মিরপুরের শাহ আলী মার্কেট থেকে ইউনিফর্ম তৈরির ব্যবস্থা করেন। এসব পোশাক ব্যবহারে অপহরণ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল সন্ত্রাসীরা।
র্যাব সতর্ক করে জানায়, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর পোশাক তৈরি ও ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করা একটি গুরুতর অপরাধ। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজে জড়ালে সংশ্লিষ্ট টেইলার্স ও প্রস্তুতকারকদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আটকৃত ব্যক্তি হলেন, হলদিয়া পালং ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল শুক্কুরের ছেলে, মো. জায়েদ হোসেন ফারুক (২২)।
র্যাব জানায়, অভিযানে বেশিরভাগ জড়িত সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলেও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন ও কুখ্যাত ডাকাত শাহআলম এখনও পলাতক। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।