ডেস্ক রিপোর্টঃ
নাটোরের কাঁচাগোল্লার প্রায় আড়াই’শ বছরের পুরনো। ধারণা করা হয়, ১৭৬০ সালে রাণী ভবানীর রাজত্বকালে এই মিষ্টির খ্যাতি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। তখন জমিদারদের মুখ মিষ্টি করতে নাটোরের কাঁচাগোল্লা ব্যবহার করা হতো। নাটোরের লালবাজারের মধুসূদন পাল নামের এক মিষ্টি বিক্রেতা রাণীকে নিয়মিত মিষ্টি সরবরাহ করতেন এবং তিনিই এই মিষ্টি তৈরি করেন।
কাঁচাগোল্লার নামকরণের পেছনেও একটি গল্প আছে। একবার মধুসূদন পাল কাঁচা ছানা থেকে মিষ্টি তৈরি করার সময় নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে চিনির রসে ডুবিয়ে দেন। যেহেতু কাঁচা ছানাকে কিছু ভাজা ছাড়াই সরাসরি চিনির রসে ডোবানো হয়েছিল, তাই এর নাম হয় কাঁচাগোল্লা।
নাটোরের কাঁচাগোল্লার কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো:
এটি মূলত ছানা এবং চিনি দিয়ে তৈরি একটি মিষ্টি।
এটি হালকা গরম চিনির সিরায় ডুবিয়ে রাখা হয়।
এটি একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি এবং নাটোরের একটি পরিচিত নাম।
বর্তমানে, নাটোরের কাঁচাগোল্লা বাংলাদেশের ১৭তম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।