মোঃ লিটন হোসেন ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ সবার উপরে। মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করে একটি স্বাধীন ভূখন্ড দিয়েছেন জাতিকে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে দেশকে বিভাজন করা হয়েছে পরিকল্পিত ভাবে।
তিনি বলেন, দেশ থাকলে তো চেতনা। আর দেশ না থাকলে আমি আপনি চেতনা দিয়ে কি করব ?
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। আইন ওইসব ব্যক্তিকে সহায়তা করে না, যারা অধিকার সম্পর্কে অসচেতন। প্রেস কাউন্সিল মর্যাদাশীল ব্যক্তিকে বিচার করে বলে তারা শাস্তি দিতে পারে না।
বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম শনিবার সকালে ঝিনাইদহ সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে ‘‘বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারে প্রেস কাউন্সিল প্রণীত আচরণবিধি প্রতিপালনের গুরুত্ব ” এবং “অপসাংবাদিকতা পরিহার করে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা চর্চায় প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট,১৯৭৪ এর প্রয়োগ” বিষয়ক
দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথাবলেন।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল আউয়াল এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব মোঃ আব্দুস সবুর (উপসচিব), বিশেষ অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মনজুর মোরশেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমান এবং জেলা তথ্য অফিসার আব্দুর রউফ। অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এম এ কবীর,ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ কাজল, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লিটন, সিনিয়র সাংবাদিক বিমল কুমার সাহা, নিজাম জোয়ারদার বাবলু এবং মিজানুর রহমান।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, পেশাদারদের কোন দল বা বিভেদ থাকতে পারে না। সাংবাদিকদের এই বিভাজন জাতিকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। তাই তাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। রাজনীতি ও পেশাজীবীকে আমরা এক করে ফেলেছি। সারাদেশে একাধিক প্রেসক্লাব কিন্তু এই একাধিক প্রেসক্লাব হওয়ার তো কোন কারণ দেখিনা। সাংবাদিকদের এই বিভাজন তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রধান বাঁধা হয়ে দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ১৬‘শর বেশী আইন আছে। তারপরও আমরা নতুন নতুন আইন তৈরি করছি। আমরা আইন মানি না বা আইন পালন করছি না। তিনি বলেন, এরাই মধ্যে সাংবাদিকদের জন্য কলো আইন বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন আমি যত দিন আছি সাংবাদিকদের কল্যানে কাজ করে যাবো।
কর্মশালায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব আব্দুস সবুর বলেন, দেশের সাংবাদিকরা একতাবদ্ধ নয়। দলাদলি বা রাজনৈতিক দর্শনের কারণে সাংবাদিকরা বিভক্ত। বিশ্বকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন রাজনীতিবিদরা। ব্যক্তি স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়ার কারণে সাংবাদিকরা এক ছাতার নিচে আসতে পারে না।
কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারী ৪০ জন সাংবাদিকদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
প্রকাশক সম্পাদকঃ মোঃ রেজাউল করিম মোল্লা, মোবাইল নম্বরঃ ০১৭৫৩১২৫৩৯৫
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত