মোঃ আবু বকর,সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার উত্তর সুরমার ব্রিটিশ পয়েন্ট থেকে বাংলাবাজার পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়কের দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার করা হয়নি। ফলে ভাঙা সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারী ও এলাকাবাসীদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রিটিশ পয়েন্ট থেকে বাংলাবাজার পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়কটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। সড়কের বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে রয়েছে যাত্রীরা। এছাড়াও সড়কজুড়ে অসংখ্য খানাখন্দ দেখা দিয়েছে। সড়কের দুই পাশে ঢালু হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইজিবাইক, অটোরিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের জানবাহন চলাচলে মারাত্মক ভাবে ঝুঁকিতে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মারাত্বক ঝুঁকিতে ভাঙা সড়কটিতে চলাচল করতে হচ্ছে। এঅঞ্চলের মানুষ বেহাল অবস্থায় থাকার পরও সড়ক মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। ফলে সড়কটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ভাঙা সড়কে প্রতিনিয়তই ঘটছে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
সহকারী অধ্যাপক মাও. মকবুল আহমদ বলেন বৃটিশ পয়েন্ট থেকে বাংলাবাজার যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটি চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে গেছে। দীর্ঘ ২০ বছরে কোন উন্নয়ন বা মেরামতের ছোঁয়া লাগেনি। অথচ প্রতি দিন বাংলাবাজার হতে ছাতক, সিলেট এমন কি বিদেশেও অগণিত ট্রাকে সবজি রপ্তানি হয়, সিলেট থেকে কোটি কোটি টাকার মালা মাল আনা নেয়া হয় এই রাস্তা দিয়ে। মাঝে মাঝে ২-৩ কিলোমিটার পর্যন্ত গাড়ির জ্যাম তৈরী হয়। এই রাস্তাটি চলাচলের একমাত্র সড়ক হওয়ার এর গুরুত্ব অপরিসীম।
মোটরসাইকেল চালক বলেন, এ সড়ক দিয়ে গাড়ি নিয়ে বের হলে প্রতিনিয়ত আতঙ্ক কাজ করে কখন জানি দুর্ঘটনা ঘটে। পেটের দায়ে জীবন ঝুঁকি নিয়ে এই সড়ক দিয়ে গাড়ি চালাই। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানাচ্ছি।
বাংলাবাজার ইউনিয়য় পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হোসাইন বলেন, সড়কটির সংস্কার কাজ কেন হচ্ছে না এটা উপজেলা এলজিইডি অফিস কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে।
এলজিইডির দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, সরজমিনে গিয়ে সড়কটি পরিদর্শন করেছি। সড়ক মেরামতের জন্য বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।