ডেস্ক রিপোর্টঃ
নাটোরে যাত্রীবাহী বাস-সিএনজির (থ্রি হুইলার) মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত আরো ২ জনের রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪ জন।
শুক্রবার (২০জুন) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কের বনবেলঘড়িয়া বাইপাস এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একজন হলেন সিএনএজি চালক সদর উপজেলার হারিগাছা গ্রামের মোঃ বাবু (৪০)। অপর তিনজন হলেন, ঢাকার মিরপুর এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ সাগর (৩৫) ও তার আত্নীয় রাজধানীর মিরপুর এলাকার বাসিন্দা মোঃ শহিদুল ইসলাম (৪৫) এবং অপরজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি (৪০)।
হাইওয়ে পুলিশের ঝলমলিয়া ফাঁড়িতে কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আবুল কালাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার বিকেলে সিএনজি (ত্রি-হুইলার) চালক রাজশাহী থেকে যাত্রী নিয়ে নাটোরের দিকে আসছিলেন। একই সময়ে সিরাজগঞ্জ থেকে রাব্বি পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস রাজশাহীর দিকে যাচ্ছিল।
পথে বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে নাটোর শহরের বনবেলঘড়িয়া বাইপাস এলাকায় পৌঁছালে সিএনজি-যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিটি দুমরে-মুচরে যায়। এসময় সিএনজিতে থাকা মিরপুর এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ সাগর যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং অপর তিনজন গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সিএনজি চালক বাবুর মৃত্যু হয়। আহত ২ জনের মধ্যে ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহত যাত্রী নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে তাকেও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়ে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাড়ে ৮টার দিকে তাদের মৃত্যু হয়। তিনি আরো জানান, ঘটনার পরপরই বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। তবে ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।